শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত আলগী নদী!
শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত আলগী নদী!
কপোতাক্ষ নদ যেমন কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত-কে
আবেগতাড়িত করেছিল এই ছোট্ট নদীর প্রতি আমাদের আবেগটাও তেমন। আজ থেকে প্রায় ১৪/১৫ বছর আগে প্রতিদিন এই নদীতে সবাই মিলে গোছল করা ছিল রুটিন কাজ।
সবাই মিলে নদীতে সাঁতার কাটতাম, সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করতাম, নদী পাড়ি দিয়ে ওপারে গিয়ে হাডুডু খেলতাম, নৈ নৈ খেলাতাম, কখনও কখনও কাঁদা মেখে ভূত হয়ে যেতাম, নদীর পাড়ের গাছ থেকে ঝাঁপ দিতাম আবার কখনও কখনও খেলার ছলে মিষ্টি আলু, বাদাম সাবাড় করতাম। আমাদের সেই সময় নদী অনেকটা চওড়া ছিল, অনেক স্রোত ছিল আজ সময়ের পরিক্রমায় সেই যৌবনা নদী আজ মৃতপ্রায়।
এই নদীতে একসময় ঢাকাগামী বড় বড় লঞ্চগুলো চলাচল করত আজকাল বড়জোর একতলা লঞ্চ চলতে পারে। এই একতলা লঞ্চ থেকে একসময় কত যে নদীতে ঝাঁপ দিতাম তা হিসাবের বাহিরে যদিও এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ন ছিল কিন্তু সেইসময় ভয়/ডর মনে হয় একটু কমই ছিল।
প্রতিবছরই বাড়ী যাওয়া হয় কিন্তু সময়/সুযোগ করে সবাই মিলে আর নদীতে যাওয়া হয়না। তারপরও আমাদের সকালের কিংবা বিকালের এমনকি রাতের আড্ডা নদীর তীরে বসেই হয়। সত্যি বলতে এই নদীর তীরে বসে আপনি ঘন্টার পর ঘন্টা অনায়াসে কাটিয়ে দিতে পারবেন।শৈশবে এমন একটা নদী কাছে পাওয়া যে কার জন্য পরম সৌভাগ্যের, এটা শুধু তাঁরাই বুঝবে যারা পেয়েছে।
এবার সুযোগ পেয়েছিলাম আবার সেই নদীতে বিচরণ করার, স্মৃতি রোমন্থন করার, অতীতে হারিয়ে যাওয়ার, তাও একদিন না পরপর কয়েকদিন!!!
সত্যিই এই নদী আমাদের আবেগী করে তুলে যা কখনও মলিন হবার নয়, ভোলার নয়।
হে আলগী নদী তুমি আমাদের স্মৃতিতে সদাসর্বদা অম্লান ছিলে, আছো, থাকবে❤️❤️❤️!
- Writer: Engr Mamun
Nice
উত্তরমুছুনAmazing
উত্তরমুছুন