পোস্টগুলি

শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত আলগী নদী!

ছবি
শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত আলগী নদী! কপোতাক্ষ নদ যেমন কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত-কে            আবেগতাড়িত করেছিল এই ছোট্ট নদীর প্রতি আমাদের আবেগটাও তেমন। আজ থেকে প্রায় ১৪/১৫ বছর আগে প্রতিদিন এই নদীতে সবাই মিলে গোছল করা ছিল রুটিন কাজ। সবাই মিলে নদীতে সাঁতার কাটতাম, সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করতাম, নদী পাড়ি দিয়ে ওপারে গিয়ে হাডুডু খেলতাম, নৈ নৈ খেলাতাম, কখনও কখনও কাঁদা মেখে ভূত হয়ে যেতাম, নদীর পাড়ের গাছ থেকে ঝাঁপ দিতাম আবার কখনও কখনও খেলার ছলে মিষ্টি আলু, বাদাম সাবাড় করতাম। আমাদের সেই সময় নদী অনেকটা চওড়া ছিল, অনেক স্রোত ছিল আজ সময়ের পরিক্রমায় সেই যৌবনা নদী আজ মৃতপ্রায়। এই নদীতে একসময় ঢাকাগামী বড় বড় লঞ্চগুলো চলাচল করত আজকাল বড়জোর একতলা লঞ্চ চলতে পারে। এই একতলা লঞ্চ থেকে একসময় কত যে নদীতে ঝাঁপ দিতাম তা হিসাবের বাহিরে যদিও এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ন ছিল কিন্তু সেইসময় ভয়/ডর মনে হয় একটু কমই ছিল। প্রতিবছরই বাড়ী যাওয়া হয় কিন্তু সময়/সুযোগ করে সবাই মিলে আর নদীতে যাওয়া হয়না। তারপরও আমাদের সকালের কিংবা বিকালের এমনকি রাতের আড্ডা নদীর তীরে বসেই হয়। সত্যি বলতে এই নদীর তীরে বসে আপনি ঘন্টার পর ঘন্টা অ

সাথী হারা

ছবি
                  "সাথী হারা" সাথী আমার হারিয়ে গেছে রাতের অন্ধকারে, কত যায়গায় খোজ করিলাম পেলাম নাকো তারে। সাথী ছিল পূর্ণিমার চাঁদ অধার রাতের আলো, সে বিহনে একলা ঘরে লাগেনা মোর ভালো। আমি রয়েছি তোমার আশায় কত দিবা-রাত কেটে যায় যেখানে থাকোনা কেন?  যতই দূরে তুমি রয়েছ মোর হ্রদয় জুরে। কবে তুমি আসবে ফিরে উড়ন্ত পাখির মত ডানা মেলে, আমি রয়েছি সেই আসাতে মনের দরজাটা খুলে। Writer:  Engr Mamun

সেই সৎ কাঠুরিয়া এবং জলপরীর আবার দেখা হল!!

ছবি
কুড়াল হারানো সেই সৎ কাঠুরে অনেকদিন পর তার স্ত্রীকে নিয়ে বনে বেড়াতে গেছে। হঠাৎ তার স্ত্রী পানিতে পড়ে ডুবে গেল। কাঠুরে কান্না শুরু করেছে। তারপর জলপরী অতি রূপবতী রাজকন্যার মতো এক মেয়েকে পানি থেকে তুলে বলল, "এই কি তোমার স্ত্রী?" কাঠুরে বলল, "জ্বি এই আমার স্ত্রী।" জলপরী বলল, "ভালো করে দেখে তারপর বলো।" কাঠুরে বলল, "আর দেখতে হবে না। এই আমার স্ত্রী।" জলপরী বলল, " আগের বার তোমার সততা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। এখন তুমি এটা কী করলে? রূপবতী মেয়ে দেখে নিজের স্ত্রীকে ভুলে গেলে?" তখন কাঠুরে বলল, "আমি বাধ্য হয়ে বলেছি এইটাই আমার স্ত্রী। যদি না বলতাম, আপনি এরচেয়ে একটু কম সুন্দর আরেকটা মেয়ে তুলতেন। আমি যদি বলতাম এই মেয়ে না। আপনি সবশেষে আমার স্ত্রীকে তুলতেন এবং আগের বারের মতো তিনজনকেই আমাকে দিয়ে দিতেন। আমি নিতান্তই গরিব মানুষ। তিন বউকে পালব কীভাবে? এই কারণে প্রথমবারই বলেছি এটা আমার স্ত্রী।"🤣🤣🤣🤣 Picked up

Civil(সিভিল)-এর বাংলা অর্থ কি?

ছবি
Civil (সিভিল) বাংলা অর্থ -পুরকৌশল। পুরো মিনিং- CIVIL=Construction Investigation Various Information Leveling যার বাংলাঃ নির্মাণ তদন্ত বিভিন্ন তথ্য সমতলকরণ! Picture : Students of Jhenaidah Polytechnic Institute আর পুরকৌশল হল, পেশাদার প্রকৌশল ব্যবস্থার একটি অন্যতম শাখা, যেখানে নকশা, নির্মান কৌশল, বাস্তবিক বা প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা পরিবেশের ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করা হয়...... সিভিল একটি পদবি। এর বাংলা হল সভ্য। অর্থাৎ অতিত কালে এই ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়টি মানব জাতিকে জংগল থেকে নিয়ে এসে ঘড় বাড়িতে রাখা শুরু করে দিল,, অর্থাৎ মানুষকে সভ্য বানাল। ★ The "father of civil engineering-     John Smeaton ★সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কি ? সিভিল ইঞ্জিনিয়ার কি কি বিষয় নীয়ে কাজ করে ? সংজ্ঞা: ডিজাইন, কনস্ট্রাকশন এবং রক্ষণাবেক্ষন এর প্রকৌশলী বিজ্ঞান। প্রকৌশল জ্ঞান এর মা বলা হয়। সবচেয়ে পুরান, বড় এবং সকল প্রকৌশল জ্ঞানের সমন্বয়। এর ভাগগুলি নিচে দেয়া হলো: 1. মৃত্তিকা প্রকৌশল 2. স্ট্রাকচারাল প্রকৌশল 3. পরিবহন প্রকৌশল 4. পানি সম্পদ প্রকৌশল 5. পরিবেশ প্রকৌশল 6. ভুমিকম্প প্রকৌশল 7. নগর উন্নয়ন বা নকশা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার

২১ শে ফেব্রুয়ারি

ছবি
২১শে ফেব্রুয়ারি নিয়ে ২১ প্রশ্নোত্তরঃ একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের গর্ব। আমাদের শক্তি । বাংলা ভাষাকে মাতৃভাষা হিসাবে পাওয়া এই একুশের জন্য। তাই নিজেদের জানার জন্য কিংবা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য তাই চলুন জেনে নেই একুশ নিয়ে ২১ প্রশ্ন এবং উত্তর। ১.“একুশের গল্প”-এর তপু কোথায় গুলিবদ্ধ হয়েছিল? উত্তর: হাইকোর্টের মোড়ে ২.‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ প্রথম সংকলনের সম্পাদক কে? উত্তর: হাসান হাফিজুর রহমান ৩.গণপরিষদে ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের রাষ্ট্রভাষার দাবি ১৯৪৮ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি তারিখে পাকিস্তান গণপরিষদে ইংরেজী ও উর্দ্দুর পাশাপাশি সদস্যদের বাংলায় বক্তৃতা প্রদান এবং সরকারি কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহারের জন্য একটি সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করেন গণপরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। ৪.শহীদ হওয়া আব্দুল জব্বার এবং রফিক উদ্দিন আহমেদ ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এছাড়া আব্দুস সালাম, আবুল বরকতসহ আরও অনেকে সে সময় নিহত হন। ঐদিন অহিউল্লাহ নামের একজন ৮/৯ বছরের কিশোরও নিহত হয়। ৫.শহীদ স্মরনে শহীদ মিনার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্ররা ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে শহীদ মিনার তৈরির কাজ শুরু করে। কাজ শেষ হয় ২৪ তারিখ ভোরে। তাতে একটি হাতে লেখা

ভ্যালেন্টাইন ডে স্পেশালঃ"হারিয়ে যাওয়া প্রথম ভালবাসার মেয়ে।"

ছবি
"হারিয়ে যাওয়া প্রথম ভালবাসার মেয়ে " তুমি সন্ধ্যারও মেঘমালা নও নও পূবের রবি হাসি, তুমি গোধুলী লগনের তরুছায়া নও নও প্রেম কাব্য রাশি রাশি। তুমি শিশিরে ভেজা বুনো ফুল নও, নও ময়ূরাক্ষীর জল তুমি মেঘরাজ্যের রাজকন্যা নও, নও আলতো রোদের ঝলমল। তুমি বাঁশিরও রাগিনী নও, নও জোছনা শোভিত রাত, তুমি জলতুলির আঁচড় নও, নও মনাকাশের শুভ্র চাঁদ। তুমি স্বপ্ন মিছিল নও, নও পদ্ম রাঙা ঝিলের ডালা, তুমি ভিজে বাতাস নও, নও যতনে বোনা ঐ শিউলি মালা। তুমি মিষ্টি ভোরের দুষ্টু হাওয়া নও, নও শ্রাবণ মেঘের দিন তুমি শরতের মেঘাকাশ নও, নও স্বপ্নলোকের ঋণ। তুমি কিশোরের দূরন্তপনা নও, নও কিশোরী বালিকার চোখের হাসি তুমি রবি ঠাকুরের কাব্য সূধা নও, তার চেয়েও যেন একটু বেশি। তুমি বনলতা সেন নও, নও বসন্তের মাতাল হাওয়া, তুমি লিওনার্দোর রঙের আঁচড় নও, নও ঝর্ণা-তটিনীর বয়ে যাওয়া। তুমি অন্ধকারের গান নও, নও কৃষ্ণচূড়ার রঙ তুমি গোলাপের সাদা পাপড়ি নও, নও পদ্ম পাতার ঢং। ( তুমি বললে- আমার উপমা দেয়ার মতো কিছুই কী নেই তোমার কবি মনে? আমি বললাম- সম্ভব না। যে সৌন্দর্য রঙ বদলায় প্রতি ক্ষণে।) স্নিগ্ধ মেয়ে, মুগ্ধ ভুবন আজ তোমার পানে চেয়ে, তুমিই আমার &qu

বাস্তবতার একটি উদাহরণ!

ছবি
বাস্তবতার একটি উদাহরণ! ১৬ বছর বয়সে ক্লাসমেট মেয়েদের কাছে যখন শত প্রেমের অফার আসে তখন ছেলেদের জাস্টবন্ধু হবার মতোও কেউ জুটে না। ১৮বছর বয়সে ক্লাসমেট মেয়েরা বিয়ের যোগ্য হলেও ছেলেরা বাল্যকালের উপাধি পায়। ২০ বছর বয়সে একটা রিলেশনশিপের জন্য কি অধীর আকুলতা অথচ ক্লাসমেট মেয়েরা হাসতে হাসতে তার সামনেই ৫ বছর সিনিয়র ভাইয়ের প্রশংসা করে। ২২ বছর বয়সে যখন বান্ধবিদের বিয়ের সিরিয়াল চলতে থাকে তখনো সমাজ ছেলেদের বলে অনার্স এর "বাচ্চা ছেলে"! ২৪ বছরে মেয়েরা যখন পড়াশুনা প্রায় ক্ষ্যান্ত দিতে যাচ্ছে তখন ছেলেটার যেন যুদ্ধ শুরু! নেশাগ্রস্ত হতাশাগ্রস্ত যাই হোক না কেন, যে ছেলেটার নিজেরই চালচুলো নেই তাঁকেও যেন বহুবার ভাবতে হয় ইনকাম না করলে বিয়ে হবে না তাঁকেও দায়িত্ব নিতে হবে, সংসার, বউ, বাচ্চার! নীরব কান্নায় কাউকে খুঁজে না পেলেও একটা কথা সমাজ, আত্নীয়স্বজন, পরিবার ঠিকই মনে করিয়ে দিবে- "ছেলে কি করে? প্রতিষ্ঠিত তো?" "অনার্স মাস্টার্স শেষ মেয়েটার জন্য শত বিয়ের অপশন পরিবার দিলেও, ছেলেটার সামনে একটাই অপশন , "কিরে আর কবে চাকরি পাবি!" বিশ্ববিদ্যালয়েরর অাগুন ঝরা দিনগুলোতে প্রফেসর লেকচ

"রহস্যে ঘেরা "পর্ব-১০

ছবি
রহস্যে ঘেরা পর্ব: 10 (শেষ পর্ব) সামিয়ার মুখে একই সাথে হাসি আর বিস্ময় ফুটে উঠলো। কারণ যেই জিনিসটা তার দিকে উড়ে আসছে সেটা আর কেউ নয়, আয়ান নিজে। সামিয়া তার উড়ার বেগ বাড়িয়ে দিলো। কাছাকাছি আসতেই দুইজন দুইজনকে জড়িয়ে ধরলো। এইবার তাদের মধ্যে আগের সেই বন্ধন নেই। তাদের মধ্যে আপনজনের অনুভূতি অনুভূত হলো। সামিয়া বুঝতে পারলো না আয়ান কি করে জীবিত আছে এখনো? আর সে এইভাবে ভ্যাম্পায়ার রুপে আকাশে উড়ছে কি করে? কিন্তু এইসব কিছুর চেয়ে সামিয়ার কাছে যেটা সবচেয়ে জরুরী সেটা হলো আয়ান জীবিত আছে। সামিয়া আর আয়ান দুইজন মাটিতে নেমে এলো। সামিয়া তার সাথে ঘটা সব কিছু তাকে খুলে বললো। এখন আয়ানের পালা সব খুলে বলার। সে বলতে শুরু করে দিলো। -"ভ্যাম্পায়ার রাজ্যে তখন চলছিল উৎসব। আমাকে খুন করার উৎসব। তারা আমাকে মেরে তাদের প্রতিশোধ পূরণ করতে চেয়েছিলো। কারণ আমি তাদের রাজার ছোট পুত্র চার্লি কে ধ্বংস করেছিলাম। যার কারণে তার ভাই এরিক আরো রেগে যায়। পুরো ভ্যাম্পায়ার দুনিয়ার মধ্যে সে ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী ভ্যাম্পায়ার। তার সমানে কেউ টিকতে পারতো না। কিন্তু তারা আমায় চিনতে ভুল করেছে। যখনই এরিক তার নখ যুক্ত হাত আমার দিকে বাড়িয়ে দে

"রহস্যে ঘেরা " পর্ব-০৯

ছবি
রহস্যে ঘেরা পর্ব: 09 এইদিকে এরিক তো মহা খুশি এত সহজে তার শিকারকে হাত করতে পেরে। সে যতো কঠিন হবে ভেবেছিল তার চেয়ে অনেক সহজে আয়ানকে তুলে এনেছে। এখন তাকে একটা পাহাড়ের উপরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। কারণ পাহাড়ের উপরেই তার শাস্তি দেওয়া হবে। আর পাহাড়ের নিচে দাঁড়িয়ে আছে হাজার হাজার ভ্যাম্পায়ার। তারা নিজ চোখে একজন মানুষের করুন মৃত্যু দেখতে চায়। ভ্যাম্পায়ার রাজা আর এরিক সামনে চলে এসে ঘোষণা দেয়, -"আমার ছেলেকে খুন করেছে এই মানব। তাই আজ পুরো ভ্যাম্পায়ারবাসির সামনে তার করুন মৃত্যু হবে।" এরপর এরিক বললো, -"এই মানুষ আমার ভাইকে মেরেছে। তাই আমি এর শাস্তি আমাদের এখানে সবার সামনে দিবো। এর শরীরের সব রক্ত বের করে গোসল করবো আমরা। আর এর দেহ আমাদের রাক্ষসে ভ্যাম্পায়ারদের দিয়ে খাওয়াবো।" ঘোষণা দেওয়ার সাথে সাথে সব ভ্যাম্পায়ার সমস্বরে উল্লাসের চিৎকার দিয়ে উঠলো। এতক্ষণ একটা পাহাড়ের চূড়ার উপর একটা বিশাল খুটির সাথে বাঁধা ছিল আয়ান। সে সব শুনে যাচ্ছিলো শুধু। তার চেহারার কোন ভাবান্তর ছিল না। তাকে দেখে মনে হচ্ছিল কিছুই হয়নি। পুরো ভ্যাম্পায়ার সমাজ চিৎকার করে আয়ানের মৃত্যু কামনা করছিলো। তাই

" রহস্যে ঘেরাquot; পর্ব-০৮

ছবি
রহস্যে ঘেরা পর্ব: ০৮ সামিয়ার শরীর ধীরে ধীরে পাল্টাতে শুরু করে দিলো। আয়ান বুঝতে পারলো এই সময় সামিয়ার সামনে থাকা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই সে সামিয়ার থেকে নিরাপদ দূরত্বে চলে যেতে লাগলো। কিন্তু ততক্ষণ অনেক দেরি হয়ে গেছে। সামিয়া তার নগিন সত্তা নিয়ে ফেলেছে। তার বিশাল লেজ দিয়ে তৎক্ষণাৎ সে আয়ানকে ধরে তার মুখের সামনে নিয়ে আসে। আয়ান বুঝতে পারে সামিয়া নিজ নিয়ন্ত্রনে নেই। এখন তার মৃত্যু নিশ্চিত। সে অনেক ভাবে সামিয়াকে বুঝাতে থাকে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়না। ঠিক সেই সময় সামিয়া তার বিষ দাঁত বের করে আর যেই আয়ানকে সে কামড় দিতে যাবে তখনই তার শরীর কাপুনি দিয়ে ওঠে। হঠাৎ করে সামিয়া তার মাথা হাত দিয়ে চেপে ধরে, আর চিৎকার দিয়ে ওঠে। আয়ান সেই সুযোগ বুঝে নিজেকে মুক্ত করে নেয়। সে বুঝতে পেরেছে সামিয়া ধীরে ধীরে নিজেকে কন্ট্রোলে আনতে পারছে। তাই সে দূর থেকে চিৎকার করে সামিয়াকে তার আসল নাম, পরিচয় মনে করিয়ে দিতে থাকে। তার এইসব কথায় কাজ হচ্ছিল। ধীরে ধীরে সামিয়া আবার সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। মুখে তার একটা হাসি ফুটে ওঠে। আয়ান বুঝে যায় সামিয়া এখন নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয়েছে। তাই সে তার কাছে যায়। এখন সামিয়া

"রহস্যে ঘেরা" পর্ব-৭

ছবি
রহস্যে ঘেরা পর্ব: 07 -"দ্বি সত্তার অধিকারী তুমি।" বলে উঠলো সর্পমানব। তার মুখে এই কথা শুনে চমকে উঠলো সামিয়া আর আয়ান। এতক্ষণ একটা বদ্ধ ঘরের মধ্যে একটা কাচের বাক্সের মধ্যে চোখ মুখ বেঁধে রাখা হয়েছিল সেই সর্পমানব কে। তার বিশাল লেজ কোনমতে ঠেসে ঢুকানো হয়েছে। আর সেটা শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। আয়ান সেখানে গিয়ে তার মুখের বাঁধন খুলে দেয়। আর মুখ খুলতেই সে ওই কথাটা বলে ওঠে। সামিয়া জিজ্ঞেস করে, -"আমি কে? কি আমার পরিচয়? সব আমাকে খুলে বলুন। আমি আর এই অভিশপ্ত জীবন বয়ে বেড়াতে পারছি না। আমি মুক্ত চাই এইসব থেকে।" সর্পমানবের মুখে একটা হাসি দেখা দিলো। সে বললো, -"আমাকে এইভাবে বন্দি করে রেখে লাভ নেই। আমি কিছুই বলবো না। আমার জীবন গেলেও আমি কিছুই বলবো না।" সামিয়া হাত জোর করতে থাকলো তার কাছে। কিন্তু সর্পমানবের এক জেদ। এইবার আয়ান মুখ খুলল। সে বললো, -"ভ্যাম্পায়ার আর নাগ।এই দুই জাতি পৃথিবীতে আছে সেটা কেউ জানেনা। এরা শুধুই কাল্পনিক ছিল আমাদের কাছে। কিন্তু চোখের সামনে এইসব দেখে এখন বিশ্বাস হয়ে গেছে। আমরা বেশি কিছু জানতে চাইনা। শুধু এইটুকু বলুন সামিয়া দ্বি সত্তা মানে কি? আর রস

"রহস্যে ঘেরা " পর্ব-৬

ছবি
রহস্যে ঘেরা পর্ব: 06 একটা হাত বাড়িয়ে একটা ছুরি নিয়ে যেই অন্য হাতের উপর চালাতে যাবে ঠিক তখনই জানালার কাচ বিকট শব্দে ভেঙে গেলো। নিচে সামিয়ার বাবা মার ঘর পর্যন্ত সেই শব্দ যাওয়ার কোন উপায় নেই। কারণ তার ঘর সাউন্ডপ্রুফ। হঠাৎ করে একটা মানুষ ঢুকে পড়লো সামিয়ার ঘরের ভিতরে। সেখানে সামিয়া দেখতে পেলো একটা যুবক দাঁড়িয়ে আছে তার ঠিক নাক বরাবর। বাদামী চুলের লাল চোখ যুক্ত একটা যুবক। সামিয়া যে ভয়ে চিৎকার দিবে তারও কোন উপায় নেই। কারণ তার মুখ দিয়ে চিৎকার বের হচ্ছে না। এইদিকে কাচ ভাঙ্গার শব্দে তার হাত থেকে একটা সেই ছুরিটা পরে গিয়েছিলো। সামিয়া সেটা উঠিয়ে নিয়ে বাড়িয়ে ধরে আগন্তুকের দিকে। সামিয়ার এইরূপ আচরণ দেখে আগন্তুক একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে এগিয়ে আসে সামিয়ার দিকে। সামিয়া বারবার সেই যুবক কে ভয় দেখাতে থাকে। কিন্তু যুবকের কোন ভাবান্তর নেই। সে তার মত এগিয়েই আসছে। এইদিকে সামিয়া পিছিয়ে যাচ্ছে। পিছুতে পিছুতে সামিয়ার দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এইদিকে আগন্তুক খুব কাছে চলে এসেছে। যেই যুবকটি তার এক হাত বাড়িয়ে সামিয়াকে ধরতে যাবে তখনই সামিয়া তার চোখ বন্ধ করে ফেলে। আর একটু পরেই একটা আওয়াজ পায়। সামিয়া চোখ মেলে দেখে জানালা

"রহস্যে ঘেরা " পর্ব-৫

ছবি
রহস্যে ঘেরা পর্ব: 05 আয়ান সামিয়ার থেকে তার কিছু চুল আর তার বাবার কিছু চুল সংগ্রহ করে নেয়। এরপর সেগুলো সে ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেয়। আয়ান এখন যা যা করছে তার প্রতিটা পদক্ষেপ নেওয়ার আগে ভেবে চিন্তে নিচ্ছে। কারণ সে আন্দাজ করতে পেরেছে, সামিয়ার এইসব অলৌকিক কর্মকাণ্ডের পিছনে অন্য কারো হাত রয়েছে। নাগ রাজ্যের রাজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে একটা যুবক। সে নাগ রাজের উদ্দেশ্যে বলতে শুরু করে, -"মহারাজ! ভ্যাম্পায়াররা সামিয়াকে রক্তের প্রতি আকৃষ্ট করে দিয়েছে। এখন প্রায় রাতেই সনিয়া রক্তের পিছু ছোটে। কালকেও সেই অবস্থায় আমি তাকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে দিয়ে এসেছিলাম। আর তার বাকি তিন বান্ধবী যারা সামিয়া কে দেখেছে তাদেরকে আমি নিজে আমার বিষ দিয়ে শেষ করে এসেছি। কিন্তু এখন আমাদের সামিয়াকে রক্ত থেকে দূরে রাখতে হবে।" যুবকের কথা শুনে রাজা চিন্তায় পড়ে গেলো। কারণ যদি সামিয়া শুধু ভ্যাম্পায়ার সত্তার অধিকারী হয়ে যায় আর ভ্যাম্পায়ারদের সাথে কাজ করে তবে এই দুনিয়ায় সবচেয়ে শক্তিশালী হবে ভ্যাম্পায়ার সাম্রাজ্য। আর ভ্যাম্পায়ার রাজ সামিয়াকে দিয়ে নাগ রাজ্য ধ্বংস করে দিবে। কিন্তু সামিয়া যদি উভয় সত্তার অধিকারী আর

"রহস্যে ঘেরা"পর্ব-০৪

ছবি
রহস্যে ঘেরা পর্ব: 04 সামিয়ার কলেজের কয়েকজন আয়ান আর সামিয়া কে একসাথে দেখে হিংসা করতে শুরু করে দেয়। কারণ হলো, আয়ান বড় লোক পরিবারের, রাজপুত্রের মত দেখতে। কিন্তু সামিয়া হলো বিধবা। আর সে অপয়া। কিন্তু কলেজের বাকি সব মেয়েদের থেকে সামিয়া সবচে সুন্দর দেখতে। তাও বাকি মেয়েদের হিংসা সামিয়াকে নিয়ে। তাই তারা একত্র হয়ে ঠিক করে নেয় তারা লুকিয়ে সামিয়ার বাড়িতে যাবে তাও রাতের বেলায়। আর তাকে ভূতের ভয় দেখিয়ে কুপকাত করিয়ে দিবে। প্ল্যান অনুযায়ী তারা সেটাই করতে শুরু করে দেয়। রাতের বেলা তারা সামিয়ার বাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। দারোয়ান কে ফাঁকি দিয়ে কোনমতে তারা ঢুকে পড়ে বাড়ির ভিতর। পূর্ণিমার রাত! আকাশে পূর্ণ চাঁদ সমানভাবে তার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। দূরে কোথাও মাঝে মাঝে শিয়ালের ডাক ভেসে আসছে। সাথে সাথে কেঁপে উঠছে সামিয়াকে জব্দ করতে আসা চারজন মেয়ের দল। কিন্তু তারা এক রোখা। তারা যে করেই হোক সামিয়াকে একটা শিক্ষা দিয়েই ছাড়বে। তাদের সাথে রয়েছে ভয়ানক কিছু মুখোশ, আর ভূতের পোশাক। তাদের প্ল্যান হলো নিচে কিছুর শব্দ করে সামিয়াকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে আসা আর যখন সামিয়া নিচে আসবে তখনই সবাই তাকে ভয় দেখাবে আর আয়ানের থেকে

সিভিল ইংঞ্জিনিয়ারিং ভাইবার জন্য খুবই প্রয়োজনীয় কিছু প্রশ্নউত্তর।

ছবি
ভাইবার জন্য খুবই প্রয়োজনীয় কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর... 1। Sepecification কি? উ: কি ভাবে, কি অনুপাতে কাজ করতে হবে তার বিস্তারিত বিবরণ যে নির্দেশিকায় লেখা থাকে তাকে sepecification বলে। 2। সিডিউল কি? উ:যে নির্দেশিকায় sepecification, BOQ ও রেট লেখা থাকে তাকে সিডিউল বলে। 3। Project lauch করতে হলে কি কি দরকার হয়? উ: ড্রইং, ডিজাইন,জায়গা,ডিসিশন, লোকবল ও মালামালের দরকার হয়। 4। Method of procurement কত প্রকার ও কি কি? উ: ৬ প্রকার, যথা- Open tendering method ( OTM) Restricted tendering method (RTM) Request for quotation method(RFQM) Direct procurement method(DPM) Two stage tendering method (TSTM) Internal tendering method(ITM) 5। লে আউট কি? উ:ড্রয়িং সিটে যে ড্রইং করা আছে তা হুবহ মাঠে সেট করাকে লে আউট বলে। 6।গ্রিড লাইন কাকে বলে? উ:কাজ করার সুবিধার জন্য ড্রইং এ নির্দিষ্ট দূরে দূরে উওর -দক্ষিণ ও পূর্ব পশ্চিমে যে রেখাগুলো টানা হয় তাকে গ্রিড লাইন বলে। 7। সেন্টার লাইন কাকে বলে? উ:যে রেখা কলাম বা ফুটিং এর ঠিক মাঝ বরাবর টানা হয় তাকে সেন্টার লাইন বলে। 8. একটি কলাম ফুটুং এর কোন স্থানে বসবে? উ:কলামের